নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি’র কৃতি সন্তান মোঃ মঈনুল হাছান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে অদ্য ১লা সেপ্টেম্বর তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। তার পদোন্নতি তে ফটিকছড়ি’র শিক্ষা পরিবারসহ সকলেই উনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন । ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে শিক্ষার প্রসারে কাজ করার ব্রত নিয়ে উনি নানা শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। উনার গ্রাম ফটিকছড়ি’র লেলাং এর শাহনগরে একটি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় সকলকে সংগঠিত ও সমন্বয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সকলের সহযোগিতা থাকলে অচিরেই এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডা ও আলোচনায় গ্রামের যুবকদের নিয়ে আলোকিত যাত্রাপথে আলোকিত আরো অনেক মানুষ তৈরি হবে বলে উনার বিশ্বাস। পাশাপাশি উনি গ্রামে ঘুরে ঘুরে কারিগরি শিক্ষায় সকলকে আগ্রহী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সেলিং ও অনুপ্রাণিত করাতেই যেন উনার পরম আনন্দ। ঘরে ঘরে চাকুরী, ব্যবসা বানিজ্য আর আলোকিত জনপদ তৈরীতে কাজ করাই যেন উনার নেশা। এই জন্য উনি উনার উপজেলা ফটিকছড়ি তে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একজন পরিচিত ও প্রিয় মুখ। এবার করোনাকালীন সময়ে ছুটি থাকায় পুরো ফটিকছড়ি তে বিভিন্ন কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন আয়োজনে উনি চষে বেড়িয়েছেন। একটাই বারতা নিয়ে গেছেন, যেন ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজের গন্ডি পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরযন্ত পৌঁছাতে পারে। ঝড়ে পড়া ও ইচ্ছুক রা যেন কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে, এই বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য উনার বক্তব্যের মাধমে প্রচারের চেষ্টা করেছেন। উনি ফটিকছড়ি কে আরো আলোকিত জনপদ তৈরী তে এই করমযজ্ঞ অব্যাহত রাখবেন বলে দৈনিক ফটিকছড়ির খবর কে জানিয়েছেন।
তাছাড়া এই করোনাকালীন সময়ে ফটিকছড়ি কোভিড হাসপাতাল বিনির্মানে ফটিকছড়ি’র আপামর জনসাধারণ কে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানিয়ে আহবান জানিয়ে প্রচারণার কাজ করেছেন মহামারী শুরুর দিক থেকেই। নিজেও এগিয়ে এসেছেন উনার একমাসের মূল বেতন নিয়ে। শাহনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফান্ড সংগ্রহের কাজ ও সমন্বয় করেছেন অন্যান্যদের সাথে। লেলাং ইউনিয়নে মহামারী তে সংকটে পড়া পরিবারের জন্য শাউবি ২০০২ ব্যাচের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান এর তহবিলের মাধ্যে উপহার সামগ্রী পাঠাতেও ভূমিকা রাখেন। উল্লেখ্য, ২০০২ ব্যাচ থেকে উনারা আরো বিভিন্ন ভাবে সমাজের অন্যান্য সহায়তামূলক কাজে সমন্বয়ের কাজ ও করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে।
১৯৮৬ সালের ১১ই জুলাই উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।মোঃ মুছা ও জান্নাতুল ফেরদৌস বেগমের ৫ সন্তানের মধ্যে তিনি ৪র্থ।
সাদামাটা জীবন যাপনই এই নিবৃতচারী মানুষটির সবচেয়ে পছন্দের। তার সান্নিধ্যে যারাই এসেছেন তারাই মুগ্ধ হয়েছেন তার ব্যবহারে, অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যের জন্য। তরুনদের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করেই সময় কাটান গ্রামে কাটানো বেশির ভাগ সময়। এলাকার তরুণদের কাছে ইনি আইডল। সমাজ ও শিক্ষায় অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত মধ্যবিত্ত পরিবারের থেকে উঠে আসা এই মানুষটি।
শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর শেষ করেছেন গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ যথাক্রমে শাহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহনগর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে বি.বি.এ ও এম.বি.এ শেষে কিছুদিন অধ্যাপনা করেছেন নিজ জেলার বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনায় যুক্ত হন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষিত ইয়েস চাইনা (ইয়ুথ এক্সেলেন্স স্কীম) স্কলারশিপ নিয়ে সাউথ চাইনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির স্কুল অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন থেকে এমবিএ করতে প্রথম বারের মতো চাইনা পাড়ি দিয়ে এমবিএ শেষ করে দেশে ফিরে আসেন গত জুলাই মাসে।
সম্প্রতি চীন সরকারের স্কলারশিপ (চাইনা স্কলারশিপ কাউন্সিল) নিয়ে নর্থ ওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণায় আছেন ফটিকছড়ির এই কৃতি সন্তান।
ব্যাক্তি ও সামাজিক জীবনে তিনি সফলভাবে এগিয়ে চলেছেন আলোকিত এই জনপদে। তিনি চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি’র আজীবন সদস্য, কুমিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সমিতি’র উপদেষ্টা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বার বার নিরবাচিত কারযকরী সদস্য নিরবাচিত হয়েছেন। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের সাথে উনি নিজেলে সম্পৃক্ত রেখেছেন। উনার উত্তরোত্তর সফলতা আলোকিত ফটিকছড়ি’র যাত্রায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে ফটিকছড়িবাসী।