নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাওনা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় গীতা রাণী তিলক (৩৫) নামের একজন হিন্দু গৃহবধু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে। গীতা রাণী মধ্য খিরাম বণিক পাড়া কাজল তিলক এর স্ত্রী।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৭টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গীতা রাণীর দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়েকে গত ৫মাস আগে ধারদেনা করে বিয়ে দেন। বিয়ের পর গীতা রাণীর স্বামী কাজল তিলক ধারদেনার সব চাপ তার স্ত্রী গীতা রাণীর উপর তুলে দিয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এর আগেও সে কয়েকবছর পর পর বাড়ি আসতো এবং জানা যায় সে আরেকটি বিয়েও করে। গত ৪মাস ধরে অনেক খোঁজ নেওয়ার পরেও গীতা রাণীর স্বামীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কোন উপায় না পেয়ে গীতা রাণী খাগড়াছড়ি ভূবন পাড়ায় একটি পরিবারে ঘরের যাবতীয় কাজ করতো এবং তার ছোট মেয়েকে বড় মেয়ের শশুর বাড়িতে থাকতে দিয়ে দেয়।
গত (সোমবার) কয়েকমাস পর গীতা রাণী তার শশুর বাড়িতে আসে৷ আসার পরে তার ঘরে রান্না না হওয়াতে দুপুর এবং রাতে পাশের প্রতিবেশীরা তাকে ডেকে নিয়ে খাবার দেয়। রাত সাড়ে ৮টার পর গীতা রাণী নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, সকালে অনেক ডাকার পরও রুমের ভিতর থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখতে পান গীতা রাণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার এসআই মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, আত্নহত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করি। গীতা রাণীর স্বামীর সাথে ফোনে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। লাশ তাদের পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছি।