দৈনিক ফটিকছড়ি প্রতিবেদনঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ফটিকছড়িতে ছয়শতাধিক পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। “ক” শ্রেণীর সুবিধাভোগীদের ৫শ ৬টি ঘর দেয়া হবে এবং “খ” শ্রেণীর সুবিধাভোগীদের ৮শ ৭৬টি ঘর দেয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে ফটিকছড়ি উপজেলায় ঘরহীন অসহায় হত দরিদ্র পরিবার ধম্যে প্রথমধাপে ৭০টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা আগামী ২৩জানুয়ারী গৃহমালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এরমধ্যে “ক” শ্রেণীর হলো, যাদের ভুমি আছে ঘর নেই এবং “খ” শ্রেণী হলো যাদের ভুমি ও ঘর নেই। প্রতিটি বাড়ির সম্ভাব্য নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে এ কর্মসূচিতে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা।
ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রথমে ‘ক’ শ্রেণীর যাদের ঘর দেওয়া হবে তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলার পৌরসভার রাঙ্গামাটিয়া, পাইন্দং, খিরাম, কাঞ্চন নগর, সুয়াবিল, নারায়ণ হাট, ভূজপুর ও ধর্মপুরসহ প্রথমধাপে বেশ কিছু ইউনিয়নে এসব ঘর তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এসব ঘর ২ কক্ষ বিশিষ্ট রান্না ঘর বারান্দা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সায়েদুল আরেফিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘর গুলোর নির্মাণ কাজে সর্বদা আমি নিজেই তদারকি করছি, সরকারের এই কর্মসূচিতে ফটিকছড়িসহ বাংলাদেশের একজন মানুষ ও গৃহহীন থাকবে না- প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬শত জনের তালিকা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আগামী ২৩ জানুয়ারী ৭০টি ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আরো ২ শত ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসে বাকী ঘরের কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ঘর নির্মাণে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আবুল হোসেন বলেন, উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো ও রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচির আওতায় ৬শ,টি গৃহ নির্মান করা হবে ইতিমধ্যে ৭০টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। গুণগত মান বজায় রেখে সুন্দর ভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাতে উপকার ভোগীরা বসবাস করবে। আগামীতে ঘরের পরিমাণ বাড়ানো হলে প্রান্তিক মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।