প্রবাস সময়ঃ ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারী ওমান বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবসহ রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও কমিউনিটি নেতাদের নিয়ে, দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করে পরে অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
পরে দূতাবাস হল রুমে রাষ্ট্রদূতমোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দূতালয় প্রধান থোয়িং এ এর সঞ্চালনায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে শুরু হওয়া সভায় মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী,মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করে শুনান দ্বিতীয় সচিব আশাদুল হক, এইচ ও সি থোয়িং এ ডেপুটি চীপ অব মিশন মিস মৌসুমী রহমান।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন , ভাষাশহিদরা মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহিদরা শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেননি, ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদেরও সূচনা হয়েছিল তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। ‘শহিদ দিবস ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইয়াসিন চৌধুরী , সোশ্যাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এন আমিন, সেলিম উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন সবুজ শিকদার ও কিবরিয়া কালাম চৌধুরী।
বক্তারা বলেন বাঙালি জাতির আত্মপ্রকাশ ও আত্মত্যাগের কথাই জড়িয়ে রয়েছে মহান শহিদ দিবসে। কারণ এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতি প্রথমবারের মতো আত্মপ্রকাশ করেছিল তাদের শক্তিমত্তা। যা পরবর্তীতে সাহস যোগায় অন্যান্য আন্দোলনে, সংগ্রামে ও মুক্তিযোদ্ধে।
পরে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আশাদুল হক। শেষে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করার পর সবাই আপ্যয়নে অংশ নেন।