নিউজ ডেস্কঃ
উত্তর ফটিকছড়ি বাগানবাজারে বিয়ে বাড়িতে, নিষেধ করার পরেও বাদ্যযন্ত্র বাজানো এবং নাচ গান করার কারনে বিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়ে, চাকরি হারালো মসজিদের খতিব এবং একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। এইনিয়ে এলাকায় আলোচনা -সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মসজিদ ও মাদ্রাসার দু,গ্রুপের দ্বন্ধ এবং এলাকায় কিছু মানুষের চাপে পড়ে সমাজের সর্দার ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা মসজিদের খতিবকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিয়েছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার ইউনিয়নের (৯নং ওয়ার্ড়) উদয় পাথর গ্রামে।
দীর্ঘী তিন বছর এই গ্রামের উদয় পাথর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতিব ও বায়তুল হিকমাহ ইসলামি দাখিল মাদ্রাসা প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মৌলানা মুফতি মির্জা মুহাম্মদ মুজিবুল হক।
জানা যায়, সামাজিক ভাবে ওই এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গান বাজনা নিষেধ ছিলো। গত বৃহস্পতিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ডিজে সাউন্ডে গান বাজনা হওয়াই মসজিদের খতিব বিয়ের আকদ পড়ান নি। এতে এলাকার কিছু লোকজন খতিবের উপর ক্ষেপে যায়। তারা সমাজের সর্দার ও মসজিদ কমিটিকে অনেকটা চাপ সৃষ্টি করে, যাতে ওই খতিবকে এলাকার সব ধরনের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়। সর্দার এবং মসজিদ কমিটির লোকজন এই নিয়ে বৈঠক করে। সিদ্ধান্ত আসে ওই হুজুরকে সবকিছু থেকে বাদ দেওয়ার। সিদ্ধান্ত মতে, হুজুরকে মৌখিক ভাবে বাদ দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ক্ষতিগ্রস্ত খতিব মুজিবুল হক জানান, আমি অন্যয় করিনি। আমার উপর অন্যয় করা হয়েছে। ধর্মীয় এ সমাজিক নিষিদ্ধ আছে বলে গান বাজনার প্রতিবাদ করেছি। এই নিয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন জানান, কিছু মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে খতিবের ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে আমরা উনার দায়িত্ব হতে সরে যেতে বলেছি।
এদিকে মৌলানা মুফতি মির্জা মুহাম্মদ মুজিবুল হক তার দায়িত্ব হতে অব্যহতি দেওয়ায়, গতকাল (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজুর বরাবরে মৌখিক অভিযোগ করেন উত্তর ফটিকছড়ি ওলামা পরিষদ ও সাবেক এই খতিব।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজু বলেন, ওলামা পরিষদ এবং ক্ষতিগ্রস্ত খতিব আমাকে মৌখিক অভিযোগ করেছে। এই নিয়ে আমি উভয়কে নিয়ে বসে একটা সুন্দর সিদ্ধান্তে যাবো।