নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন চট্টগ্রাম বারের বিশিষ্ট আইনজীবী, তরুণ প্রজন্মের অহংকার, মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাঈল গনী।
এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পৌরবাসীর অধিকার আদায়, নাগরিক সেবা নিশ্চিত, সার্বিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই প্রার্থী হচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন দৈনিক চট্টগ্রাম বার্তাকে।
সম্প্রতি একান্ত আলাপকালে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাঈল গনী বলেন, সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়ার মানসিকতা নিয়েই নীতিগতভাবে আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সচেতন পৌরসভাবাসী এ ব্যাপারে আমাকে যথেষ্ট পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে।
নির্বাচিত হলে নাজিরহাট পৌরসভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। এ ব্যাপারে আমি সর্বসাধারণের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। যাতে আমি বিজয়ী হয়ে জবাবদিহিতামূলক দায়িত্ব পালন করতে পারি।
পেশাগত জীবনে আমি আইনজীবী হলেও এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমার সম্মুখ ধারণা রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমি সামনের দিকে অগ্রসর হবো।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাঈল গনীর জন্ম নাজিরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সুয়াবিলে। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমীর আলী সওদাগর।
শিক্ষা জীবনঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতায় অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাঈল গনী উচ্চ শিক্ষিত। তিনি সুয়াবিল ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, নাজিরহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে আইন বিষয়ে এল.এল.বি (অনার্স) ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে এল.এল.এম (মাস্টার্স) ডিগ্রি পাশ করেন।
আইন পেশায় আগমন:
শিক্ষা জীবন শেষ করে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাঈল গনী ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বারে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কোর্ট হিলে আইনজীবী শাপলা ভবনের ২২৩ নং চেম্বারে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিচার প্রার্থীদের আইনী পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সামাজিক কর্মকাণ্ড:
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাঈল গনী একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তিত্ব ও সর্বদা সমাজ সেবায় নিবেদিত। এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার গরীব দুঃস্থদের আর্থিক সহায়তা, অসহায় কন্যাদের বিবাহে সহযোগিতা সহ বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে তিনি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
গরীব শিক্ষার্থী ও রোগাক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, সেবামূলক সংগঠনসহ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি নাজিরহাট এইচপিএন ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক, হরশ্যা সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন নাজিরহাট পৌরসভা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন আছেন। এছাড়াও তিনি নাজিরহাট পৌরসভা উন্নয়ন পরিষদের সেক্রেটারি, নাজিরহাট ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ, নাজিরহাট আদর্শ গণপাঠাগারসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।