প্রবাস ডেস্ক: বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে ওমান সালালাহ অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল করে সালালাহ বসবাসরত বাংলাদেশীরা।
দেশটির আইননুসারে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও। বাংলাদেশে ছাত্র জনতার উপর নির্বচারে গুলো করার প্রতিবাদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ওমানের সালালাহতে গনজমায়ত সৃষ্টি করে মিছিলে অংশ নেন তারা।
পরে মিছিলে অংশগ্রহণ করার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনের তথ্য পেয়েছেন দূতাবাস।
আটককৃতদের মধ্য মোহাম্মদ নাজিম নামের একজন জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আসেন।
পরে আটককৃতদের বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাট আবগত হলে।
আটককৃত বাংলাদেশিদের মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ দেন বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাট।
এদিকে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে মান্যবর রাষ্ট্রদূত নির্দেশনায় আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমেকে জানিয়েছিলেন
দূতাবাসে লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
গত ২২ শে জুলাইর মিছিলে অংশ নেন তারা। পরে ২২ থেকে ২৭ জুলাই এর মধ্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ একমাস ১৪ দিনপর আজ বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর আটককৃতদের সালালাহ একটি আদালতে তুলা হয়।
আদালত থেকে আটককৃত ছয়জনের মধ্য চার জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
তারা হলেন, মোহাম্মদ নিজাম, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কায়েস আহমেদ।
অন্য ২ জনের ধন্য এজনের ওমানের কোন প্রকার ডকুমেন্টস না থাকা এবং পরের জনের সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা থাকায়। তাদের আগামী ২ অক্টোবর তাদের কোটে তুলা হবে বলে জানান আদালত।
এদিকে জামিনে আসা চারজন ওমানে থাকতে পারবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিতীয় শুনানি আগামী ১৬ অক্টোবর।
তাদের জামিনের বিষয়টি গণমাধ্যমেকে জানান দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
তিনি জানান, ওমানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংহতি জনাতে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আটক হওয়া ছয়জনের মধ্য চারজনের জামিন হয়েছে।
তার আগে, গত ২২ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশীরা ওমানের সালালাহতে বিক্ষোভ করেন। এরপর ৬ জন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
দীর্ঘ একমাস ১৪ দিনপর আজকেই আদলতে তুলা হয় তাদের।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমর্থনে ওমানের সালালাহ’র রাস্তায় বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ওই সময় তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিক্ষোভ করার অপরাধে তাদের আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ওমানে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ অবৈধ। সেখানে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, গণজমায়েতের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকে দেশটি। বাংলাদেশী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গায় উসকানি ও জড়ো হওয়ার’ অপরাধে মামলা করা হয়েছিল।