দৈনিক ফটিকছড়ি ডেস্ক: ‘কাঙ্খিত উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার সহযাত্রী হবেন সাংবাদিকরা’
‘প্রান্তিক জনগোষ্টীর কাঙ্খিত উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার সহযাত্রী হবেন সাংবাদিকেরা। তাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ জনগনের কথা তুলে ধরা। ফটিকছড়ি একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা। এই বৃহত্তম উপজেলায় প্রাকৃতিক অনেক সম্পদ রয়েছে। রয়েছে ১৮টি চা বাগান, ৪টি রাবার বাগান, তীর্থভূমি মাইজভান্ডার এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা। সাংবাদিকদের লিখনির মাধ্যমে এসবকে যথাযথ ব্যবহার করা গেলেই একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর করা সম্ভব।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে উপজেলা সদরের একটি রেস্তোরাঁর হল রুমে ফটিকছড়ি উপজেলার ‘সমস্যা-সম্ভাবনা ও সাংবাদিকদের ভুমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দৈনিক ফটিকছড়ি। সার্বিক সহযোগিতা করেন লিম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। এতে উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা কথা উঠে আসে। কথা বলেন উপজেলার অন্তত দুই ডজন সাংবাদিক।
দৈনিক ফটিকছড়ির প্রধান উপদেষ্টা ও লিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ ও ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ।
সাংবাদিক সালাউদ্দিন জিকুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আহমদ আলী চৌধুরী, এস এম আক্কাছ, আবু মুছা জীবন, ইকবাল হোসেন মঞ্জু, মো. সোলায়মান আকাশ, দৌলত শওকত, সাইফুর রহমান সোহান, আরফাত বিন হাসান, মো. রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ফটিকছড়ির নির্বাহী সম্পাদক সীরাত মঞ্জুর ও বার্তা সম্পাদক ইউসুফ আরফাত।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘সকল উন্নতির আগে আমাদের মানসিক উন্নতির প্রয়োজন। মানসিক উন্নতি ছাড়া কোন উন্নয়নই সম্ভব নয়। এখানকার মূল সমস্যা হচ্ছে অভ্যন্তরিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ। উপজেলাকে সমৃদ্ধ করতে আপনারা লেখালেখি ও বিভিন্ন দাবী-দাওয়া তুলে এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারেন। এসব লেখালেখি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃংখলা উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ করে আমাদের অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে কাজ করবো।’
উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, ‘উপজেলার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রান্তিক জনগোষ্টীর সেবা পাওয়া। এতে প্রধান অন্তরায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলার বেশিরভাগ সড়কই এখনো অনুন্নত। আমরা সেসব নিয়ে কাজ করছি। এছাড়াও আরো যেসব সমস্যা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ জন্য সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সভাপতির বক্তব্য মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আয়োজিত আজকের এই মতবিনিময়ে যেসব সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং দাবী দাওয়া তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
শেষে ইউএনও মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করে একটি সুন্দর বাসযোগ্য মডেল উপজলা গড়ে তুলতে আমরা প্রাণান্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।’
বার্তা প্রেরক
দৈনিক ফটিকছড়ি ও লিম ফাউন্ডেশন পরিবার